নেইমারের পুনর্মিলনের আভাস, দিলেন শেষ অধ্যায়ের ইঙ্গিতও
দীর্ঘদিন ধরে চোটের সঙ্গে লড়াই করে মাঠের বাইরে থাকা ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড নেইমার এবার নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে মুখ খুললেন। সৌদি ক্লাব আল-হিলালের হয়ে খেলতে না পারার হতাশার মাঝেই তিনি সৌদি ফুটবল ছাড়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন। তার সম্ভাব্য নতুন গন্তব্য হতে পারে যুক্তরাষ্ট্রের ইন্টার মায়ামি, যেখানে তার দুই প্রিয় সাবেক সতীর্থ লিওনেল মেসি ও লুইস সুয়ারেস খেলছেন।
বার্সেলোনায় মেসি ও সুয়ারেসের সঙ্গে নেইমার গড়ে তুলেছিলেন দুর্দান্ত এক আক্রমণত্রয়ী, যা ফুটবল দুনিয়ায় পরিচিত ছিল ‘এমএসএন’ নামে। ২০১৭ সালে রেকর্ড পরিমাণ ২২ কোটি ২০ লাখ ইউরো ট্রান্সফার ফিতে পিএসজিতে যোগ দিয়ে সেই ত্রয়ী ভেঙে দেন নেইমার।
সম্প্রতি সিএনএন-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নেইমার জানিয়েছেন, মেসি ও সুয়ারেসের সঙ্গে আবার খেলার সম্ভাবনা দেখছেন তিনি।
“অবশ্যই, মেসি ও সুয়ারেসের সঙ্গে আবার খেলা হবে অবিশ্বাস্য। তারা আমার বন্ধু এবং আমরা এখনও নিয়মিত যোগাযোগ রাখি।”
“আমাদের সেই ত্রয়ীকে পুনরুজ্জীবিত করা খুব আকর্ষণীয় হবে। আমি বর্তমানে আল-হিলালে সুখে আছি, সৌদি আরবে সুখে আছি। তবে ফুটবল চমকপ্রদ—কখন কী ঘটে বলা মুশকিল।”
২০২৩ সালে ৯ কোটি ইউরো ট্রান্সফার ফিতে পিএসজি ছেড়ে আল-হিলালে যোগ দেন নেইমার। তবে চোটের কারণে তিনি ক্লাবটির হয়ে মাত্র সাতটি ম্যাচ খেলতে পেরেছেন। সৌদি ক্লাবটির সঙ্গে তার চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে আগামী জুনে।
পিএসজির হয়ে ছয় মৌসুমে ১১৮ গোল করা নেইমার ক্লাব ফুটবলে বেশ সাফল্য পেলেও চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জেতাতে ব্যর্থ হন। তিনি বলেন, “যখন পিএসজি ছাড়ার খবর এলো, তখন যুক্তরাষ্ট্রে দলবদলের সময় শেষ হয়ে গিয়েছিল। তাই ইন্টার মায়ামিতে যোগ দেওয়ার সুযোগ ছিল না।”
জাতীয় দলের ইতিহাসে ৭৯ গোল করে ব্রাজিলের সর্বোচ্চ গোলদাতা নেইমার। তবে বড় কোনো শিরোপা ছাড়াই তার জাতীয় দলের অধ্যায় শেষ হতে পারে। ২০২৬ সালের বিশ্বকাপকে তিনি নিজের শেষ চেষ্টা হিসেবে দেখছেন।
“আমি চেষ্টা করব। আমি সেখানে থাকতে চাই। জাতীয় দলের অংশ হতে যা কিছু করা লাগে, আমি করব।”
২০২৩ সালের অক্টোবরে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে খেলতে গিয়ে এপিসিএল ইনজুরিতে পড়েন নেইমার। এরপর থেকে তিনি আর ব্রাজিলের জার্সি গায়ে মাঠে নামেননি।
“আমি জানি, এটি আমার শেষ বিশ্বকাপ হবে। এটি আমার শেষ চেষ্টা, আমার শেষ সুযোগ। সেই সুযোগটি কাজে লাগানোর জন্য আমি সবকিছু করব।”
বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে লাতিন আমেরিকা অঞ্চলে ব্রাজিল রয়েছে পাঁচ নম্বরে। শীর্ষ ছয় দল সরাসরি বিশ্বকাপে অংশ নেবে। নেইমারের সেই শেষ চেষ্টা কি সফল হবে, সেটিই এখন দেখার বিষয়।
No comments